লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কিছু ফ্যাসিস্ট তাদের সহযোগী ও বুদ্ধিজীবীদের ইন্ধনে কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি ও সহিংসতার প্ররোচনা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে সবার সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পূজা মণ্ডপ কমিটির তৎপরতায় এই চক্রান্ত নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, কমিটির মিটিং প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শারদীয় দুর্গাপূজা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, চাঁদাবাজি, মাদক এবং রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিনি বলেন, পূর্বে কিছু ভুলও হয়েছে, যেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টা এবং দুর্গাপূজা মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর পেছনের চক্রান্তে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের মদদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশে দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে নিন্দনীয়ভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে এবং অসুরের মুখে দাড়ি দেওয়ার কাজেও তার যোগসূত্র লক্ষ্য করা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় নজরদারিতে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজা মণ্ডপ কমিটির সহযোগিতায় এই চক্রান্ত প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
চট্টগ্রামের ধর্ষণ ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাহাড়ের সাধারণ জনগণ এবং পাহাড়ি বাঙালিদের সহযোগিতায় এই ঘটনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মোকাবিলা করেছে।



