ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বরগুনায় ২০৫টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিল্টন চাকমা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও গতকাল সন্ধ্যার পর পৌর শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলে জেলার বিভিন্ন জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী তাদের সহায়তা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে যাওয়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ২ টি ট্রলারের ৩১ জেলের সাথে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অপর একটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের (‘মায়ের দোয়া’) ৪ জেলে উদ্ধার হলেও বাকী ৮ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিল্টন চাকমা জানান, বরগুনা সদরে- ৬১টি, আমতলী ১১টি, তালতলী ৫২টি, বামনায় ২০টি, পাথরঘাটা ২০টি, বেতাগী ৪১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয়ে ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিনের জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরন করা হবে।