Site icon Mohona TV

নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ আমদানিতে আগ্রহ বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ আমদানির বড় উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের কাছ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হচ্ছে। ভবিষ্যতে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

নেপালের কাছ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ আমদানির বড় উদ্যোগ শুরু করছে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে একই দামে বিদ্যুৎ পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড লাইন ব্যবহার করে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনছি। একই সঙ্গে নেপাল থেকে আরও ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।’

ভারতের রাজস্থান থেকে আরও ১ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ আনার জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর বাইরে সরকার ভুটান থেকেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়।’

প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি অনুমোদন করেছে। নেপাল এবং ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভারত থেকে সৌর বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এভাবেই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়।

নেপালের বিদ্যুৎ আনতে ভারতীয় গ্রিড লাইন ব্যবহার করা হবে। এতে সঞ্চালনের জন্য ভারতকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।  নেপাল এবং ভুটান ভবিষ্যতে একক গ্রিড লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ বাণিজ্যে আগ্রহী। এজন্য ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাও চলছে।

ভারতের বেসরকারি খাত বাংলাদেশের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রিতে আগ্রহী। সম্প্রতি ভারতের আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ বিক্রির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়টি ভারত ও বাংলাদেশ কোনোপক্ষই নিশ্চিত করেনি।

কেবল নেপাল এবং ভুটানে ১ লাখ মেগাওয়াটের মতো জল বিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এই দুই দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুৎ সংকটের অনেকটা সমাধান করা সম্ভব।

বাংলাদেশ ভারত এবং নেপালের সঙ্গে বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য যৌথ কমিটি কাজ করলেও ভুটানের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হয়নি। তবে ভুটানের সঙ্গে এ বিষয়ে বাংলাদেশের আলোচনা চলছে বলেও জানান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

Exit mobile version