Site icon Mohona TV

এবারই প্রথম রাফায় হামলার সময় জানিয়েছে তেল আবিব

ছবি: সংগৃহীত

হামাস আগামী ১০ মার্চের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।গতকাল রবিবার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক বক্তৃতায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

গতকাল গ্যান্টজ তার বলেছেন, রমজানের আগে জিম্মিদের মুক্তি দেয়া না হলে হামাসকে অবশ্যই জানতে হবে রাফায় সর্বোচ্চ লড়াই শুরু হবে।

এবারই প্রথম গাজার দক্ষিণে রাফায় হামলার সময় জানিয়েছে তেল আবিব। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও তা উপেক্ষা করে হামলার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে ওই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি। তেল আবিবের এই হামলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হবে শিশু এবং নারীদের, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

এছাড়া গাজার অন্যান্য অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ)। ফলে সে স্থানগুলোতে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল পুরোপুরি বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সংকটে পড়েছে। মারা যাচ্ছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের রোগিরা। হাসপাতালগুলোতে আইডিএফের অবরোধের ফলে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে গাজার দ্বিতীয় বৃহৎ নাসের হাসপাতাল।

এর আগে জাতিসংঘের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি অভিযানের পর গাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ণ করতে রাফা শহরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মিদের কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। নাসের হাসপাতালে তাদের অভিযানকে সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হিসাবে বর্ণনা করেছে আইডিএফ। ইসরায়েলের দাবি ওই হাসপাতালকে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করছে হামাস।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০৫ জন আহত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

Exit mobile version