Site icon Mohona TV

গরমে জনজীবনে অস্বস্তি চরমে

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র গরমে দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। বাতাসে পানি যখন জলীয় বাষ্প হয়ে বাসা বাঁধে তখন নগরজীবনে গরমের কষ্ট বাড়ে। সারা দিন ধরে সূর্যের যে তাপ পড়ছে তা ধরে রাখছে জলীয় বাষ্প। ফলে গরমে অস্বস্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে গায়ে লাগছে।

গরমে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় কিছুদিন ধরেই বইছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। এতে করে ভীষণ অস্বস্তিতে আছে মানুষসহ সব প্রাণীই।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সোমবার বরিশালের খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তারা আরও বলেছে, গত বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। তখন তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪০.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহ নাগাদ ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেছেন, চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এ মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে ?দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। এ মাসে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে; যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী শুক্রবার বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ দিনেও বিরাজমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।

 

 

author avatar
Online Editor SEO
Exit mobile version