Top Newsআবহাওয়াজাতীয়

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

মোহনা অনলাইন

এবার জেলার ইতিহাসে স্মরণকালের রেকর্ড তাপমাত্রা অতিক্রম করেছে। সোমবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গত ২৯ বছরের মধ্যে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রার পারদ আরও উপরে উঠে দাঁড়ায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১২ শতাংশ।এটি গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কখনো মাঝারি, কখনো তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আগামীকাল থেকে এ জেলার তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।

টানা ১৮ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। কখনও তীব্র আবার কখনও খুব তীব্র আকার ধারণ করছে জেলার তাপপ্রবাহ। এতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবন। দিন এবং রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের আলো ফোটার পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিবেশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রকট হচ্ছে রোদের উত্তাপ। আবার সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরমে পরিবেশ আরও জটিল করে তুলছে। তীব্র হচ্ছে গরমের অনুভূতি। বৃষ্টির পানির জন্য হাহাকার করছে মানুষ।

শহরের বড় বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী জানান, ফুটপাতে বসে ব্যবসা করা দায় হয়ে পড়েছে। রাস্তা থেকে যেন আগুনের আঁচ উঠছে। শরীরের চামড়ায় ফোসকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঘরেও তো বসে থাকা যাচ্ছে না। কাজের জন্য সড়কের পাশে বসতেই হচ্ছে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button