জীবনধারাস্বাস্থ্য

ত্বকে হিট র‌্যাশ উঠলে করণী কি ?

এই গরমে সবারই শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে অন্যতম হলো র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি।

অনেকেরই রোদে বের হলেই ত্বকে হিট র‌্যাশ দেখা যাচ্ছে । এরপর সেখানে চুলকানি, আর ঘাম হলে জ্বালাপোড়া অনুভূতি তো আছেন। শুধু বড়দের নয়, শিশুদেরও ডায়াপার পরালে গরমে র‌্যাশ বের হতে দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে হিট র‌্যাশের সমস্যা এড়াতে আপনাকে মেনে চলতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এ সময়ের শুষ্ক পরিবেশে বাড়তে শুরু করে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু। যা শরীরে ঘামের সংস্পর্শে এসে ছত্রাক তৈরি করে।

এই ছত্রাক থেকেই ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়া শুরু হয়। যা গ্রীষ্মে অত্যন্ত বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গরমে ত্বকে সবচেয়ে বেশি যে ছত্রাকটির সংক্রমণ দেখা যায় সেটি হলো টিনিয়া।

এই ছত্রাক শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা ঘাম ও ধূলাবালিতে দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ছত্রাকের এই উপস্থিতি ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত ও চুলকানি তৈরি করে।

এই সময় কী কী এড়িয়ে চললে আপনি ভালো ঠকাবেন ?

এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে শরীর শুকনো রাখা। গোসলের পর কিংবা কোনো কারণে ঘামে শরীর ভিজে গেলে দ্রুত তা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এর সঙ্গেই মাথায় রাখতে হবে নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছন্নের বিষয়টি।

জীবাণু সংক্রমণ এড়াতে কাপড় ধোয়ার পর ডেটল জলে তা জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। আবার অনেক সময় পোশাকের সঙ্গে চামড়ার অধিক ঘর্ষণের ফলে ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাই গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরার পরিবর্তে বেছে নিন ঢিলেঢালা পোশাককে।

এছাড়া একই প্রসাধনী, চিরুনি, তোয়ালে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই তা পরিবর্তন করুন। ত্বকে র‌্যাশ বা চুলকানি এড়াতে নিয়মিত হাত পায়ের নখ ছোট রাখুন। কেন না বড় নখে জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়।

কোনো স্থানে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া দেখা দিলে সেখানে হাত স্পর্শ বা ঘষাঘষি না করে আক্রান্ত স্থানে বরফ দিতে পারেন। ত্বকের যে কোনো সংক্রমণে ক্রিম, লোশন বা যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে নিতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ।

তবে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে, যা মেনে চললে আপনিও দূর করতে পারেন অস্বস্তিকর র‌্যাশ। গরমে র‌্যাশ বা চুলকানি ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা। অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত ঘামের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানেও আছে কিছু প্রতিকার রয়েছে। যেমন-

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক। এতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমায়। গরমের কারণে বের হওয়া র‌্যাশের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য অ্যালোভেরা কেটে ফ্রিজে রাখুন। প্রয়োজন হলে অ্যালোভেরার জেলও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

চন্দন পাউডার
চন্দন ত্বককে প্রশমিত করে। এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষত ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। ত্বকের সমস্যা দূর করতে জল বা গোলাপজলের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

মুলতানি মাটি

বেদনানাশক ও প্রদাহবিরোধী গুণ আছে। গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্তস্থলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানির সমস্যা কমবে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button