Site icon Mohona TV

সৎ বাবার হাতে প্রাণ গেল ১০ বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া সাব্বিরের

সৎ বাবার হাতে প্রাণ গেল ১০ বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া সাব্বিরের

সৎ বাবার হাতে প্রাণ গেল ১০ বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া সাব্বিরের

তালাক দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে স্ত্রীর আগের পক্ষের সন্তানকে খুন করলেন  সৎ বাবা। গেল মঙ্গলবার বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদীপা কমলা চাপড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার স্বাীকার ১০ বছর বয়সের মাদ্রাসা ছাত্র সামিউল ইসলাম সাব্বির। বিষয়টি নিশ্বিত করেছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

জানাযায়, দাম্পত্য জীবনে নানা কলহের কারণে সাব্বিরের মা সালেহা বেগম প্রথম স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে তালাক দেন। সেই ঘরের সন্তান সামিউল ইসলাম সাব্বির। পরে  দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন পাশের গ্রামের ফজলুল হককে। সাব্বিরকে নিয়েই উঠেন সেই ঘরে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই  সাব্বিরকে মেনে নিতে পারছিলেন না ফজলুল হক। তার সংসার থেকে সাব্বিরকে সরানোর জন্য নানা রকম চাপও সৃষ্টি করে কিন্তু সালেহা তার সন্তানকে অন্যত্র সড়াতে অনীহা প্রকাশ করলে এখানেও শুরু হয় দাম্পত্য কলহ।

ছেলের সুখের কথা চিন্তা করে নিজের সুখকে জলান্জলি দিয়ে এক পর্যায়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই সালেহা বেগম দ্বিতীয় স্বামী ফজলুল হককেও তালাক দেন। আর ঘটনা দানা বাধে এখানেই। তালাক দেয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শুধুমাত্র প্রশিশোধ নিতেই সাব্বিারকে হত্যা করে তার সৎ বাবা ফজলুল হক।

 

হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী আনীতা রানী নামের একজনকে নিহত সাব্বিরের  মা সাজিয়ে কৌশলে মাদ্রসা থেকে ডেকে এনে ঔ গ্রামেরই একটি লাউ ক্ষেতে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাঁশের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয়।

 

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামেন।  মরদেহ শনাক্তের পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিকেলের মধ্যেই ফজলুল হক ও তার সহযোগী অনিতা রানীকে গ্রেফতার করে।

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version