Site icon Mohona TV

এক হত্যার রহস্য উদঘাটনে গিয়ে অন্য হত্যার রহস্য উদঘাটন

একটি হত্যা মামলার তদন্ত। কিন্তু সেই মামলার কুলকিনারা করার আগে বের হলো আরেকটি হত্যার রহস্য। বগুড়ার শাজাহানপুরে গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করে ৩৭ দিন ধরে নিখোঁজ এক নারীর মরদেহ। তবে শুরুতে যে হত্যা মামলা নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়েছিল, সেই নিহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহ দুয়েক আগে। শাজাহানপুরে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিচয় নিশ্চিত হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেয় পুলিশ। পরদিন শিবগঞ্জ উপজেলার বিউটি বেগম নামের নিখোঁজ এক নারীর স্বজনরা শাজাহানপুর থানায় ছুটে যান। ততক্ষণে অজ্ঞাত হিসেবে ওই মরদেহ দাফন হয়ে গেছে। ছবি দেখে স্বজনরা ধারণা করেন মরদেহটি বিউটি বেগমেরই। পুলিশও মরদেহটি বিউটির ধরে নিয়ে তদন্ত চালাতে থাকে।

 

তবে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার (২৭ মে) ওই হত্যায় জড়িত সন্দেহে বগুড়া শহর থেকে জয়পুরহাটের বাসিন্দা উজ্জলকে আটক করে পুলিশ। উজ্জল হত্যা করার কথা স্বীকার করলেও বিউটির মরদেহ জয়পুরহাটে নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে জানালে দ্বিধায় পড়ে যায় পুলিশ।

 

এক পর্যায়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, উজ্জল শাজাহানপুরের হত্যায় জড়িত নয়, ওই ঘটনার তিন সপ্তাহ আগে সে বগুড়ার বিউটি বেগমেকে জয়পুরহাটে তার বাড়িতে হত্যা করেছে। শনিবার উজ্জলের দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে খুনের ৩৭ দিন পর উদ্ধার করা হয় বিউটির মরদেহ।

 

এ নিয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, আসামি আমাদের দেখিয়ে দেয় সেফটিক ট্যাংকটি। আমরা সেখান থেকে অর্ধগলিত নারীর মরদেহ উদ্ধার করি।

 

শিবগঞ্জের দামগাড়া এলাকার বাসিন্দা বিউটির স্বজনরা জানান, ১৫ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে ওই গ্রামেই থাকতেন বিউটি বেগম। মোবাইলফোনে প্রেমের সূত্র ধরে ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, যে নারীর হত্যাকাণ্ডে শুরুতে উজ্জলকে আটক করা হয়েছিল, তার পরিচয় এখনও অজ্ঞাত।

 

 

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version