Site icon Mohona TV

নোয়াখালীর চাটখিলে ফায়ার ফাইটার আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামে ফায়ার ফাইটার মো. আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৯টায় স্থানীয় কামালপুর মো: হাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে তার জানাজায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাশাপাশি এলাকার সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকায় দিয়ে আচ্ছাদিত মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় পারিবাকি কবরস্থানে তাকে চীর নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে ভোর সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহত আলাউদ্দিনের মরদেহ বাড়িতে আনা হলে স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় শোকাবহ পরিবেশ সৃস্টি হয়।
চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকান্ডে নিহত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার মো. আলাউদ্দিন (৩৫) ঘটনার দিন সকালেই ছুটি শেষে গ্রামে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরে যান।
নিহত আলাউদ্দিন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের বড় মুন্সি বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে আলাউদ্দিন।
স্বজনরা জানান, তিনি ১৫ বছর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। তার প্রথম কর্মস্থল ছিল ঢাকা, পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামর আগ্রাবাদ, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, কুমিল্লা এবং সর্বশেষ চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশন।
গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ছুটিতে বাড়িতে আসে আলাউদ্দিন। সাত দিনের ছুটি শেষে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে গিয়ে চট্টগ্রামের কুমিরা স্টেশনে যোগদান করেন তিনি। রাতে ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলে তিনি প্রথম ইউনিটের সদস্য হিসেবে আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন। এরপর বিস্ফোরণের সময় থেকে নিখোঁজ হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। স্ত্রী, বাবা-মা ও ছয় ভাই-চার বোনের সংসারে ভাইদের মধ্যে প ম ছিলেন আলাউদ্দিন। তার ছয় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
আলাউদ্দিনের আকষ্মিক মৃত্যুর খবরে তার পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজন ও এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না এমন মৃত্যুর সংবাদ। রাতেই মরদেহ বাড়িতে আসার কসতঅ রয়েছে।
author avatar
Editor Online
Exit mobile version