টানা দু’ দিনের প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দ্বি হয়ে পড়েছেন।
ঢলের পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহর হতে বিভিন্ন সড়ক। এছাড়াও পানিতে ডুবে গেছে মৎস্য প্রজেক্টসহ হাজার হাজার একর জমির আমন ধানের বীজতলা ও আউস ধানসহ সবজির ক্ষেত। এদিকে পানিবন্দ্বি লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। সেই সাথে বাড়তে থাকে সোমেশ্বরি, মহারশী, ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি। শুক্রবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চলের অর্ধশত গ্রাম। এতে পানি বন্দ্বি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট। সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য প্রজেক্টসহ হাজার হাজার একর জমির ফসল। পানিবন্দ্বি অনেকে গরু, ছাগল ও হাস মুরগি নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেক পরিবারের চুলায় পানি ওঠায় রান্না করতে না পেরে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। কেউবা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
পানিবন্দ্বি লোকজন জানান, এখন পর্যন্ত তারা সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে। চরম বিপর্যয়ের শিকার হতে পারে লক্ষাধিক মানুষ।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানান, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।