Site icon Mohona TV

সংকট সামাল দিতে কয়লা বিদ্যুতে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

বিদ্যুৎসংকট সামাল দিতে তেল-গ্যাসের বিকল্প উৎস, কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুতে গুরুত্ব দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু উৎপাদন বাড়ানোই নয়, সঞ্চালন লাইন তৈরি এবং কয়লার সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার তাগিদ দেন তারা। টেকসই ব্যবস্থাপনা তৈরিতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব খনি থেকে কয়লা উত্তোলন জরুরি,বলে মত ভূতত্ববিদদের।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৫৭টি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার ১৭ মেগাওয়াট। এসব কেন্দ্রে চাহিদার তুলনায় জ্বালানি সরবরাহ কম হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমেছে প্রায় অর্ধেকে।

ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ১০টি; যা উৎপাদন ক্ষমতা ১,২৯০ মেগাওয়াট। এর বাইরে ৬৪টি কেন্দ্রে ব্যবহার হয় ফার্নেস অয়েল। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিতে এসব কেন্দ্র আপাতত বন্ধ রেখেছে সরকার। সংকট সামাল দিতে দেশব্যাপী রুটিন লোডশেডিং করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কয়লাভিত্তিক প্রকল্পেই আস্থা রাখছে বাংলাদেশ। বছরের শেষ নাগাদ আসতে পারে রামপালের একটি ইউনিট। এ সময়ের মধ্যে বেসরকারি খাতেও চালু হবে দুটি কেন্দ্র। গতি আসবে বড় পুকুরিয়ায় কয়লাখনি কেন্দ্রিক প্রকল্পে। এরমাধ্যমে সংকট কিছুটা কাটবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ভূতত্ববিদরা জানান, উত্তরবঙ্গে বড় চারটি কয়লা খনি আছে। যেগুলোতে উত্তোলনের কোন উদ্যোগ নেই। এখন পরিকল্পনা নিলেও সময় লাগবে অন্তত ৪-৫ বছর। সে পর্যন্ত আমদানি করতেই হবে।

কয়লা আমদানিতে তেল-গ্যাসের মতো বড় অঙ্ক গুনতে হচ্ছে না। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে এতেও জটিলতার আশঙ্কা থাকছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version