Site icon Mohona TV

শ্রীপুরে মিথ্যা মামলা থেকে হয়রানির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

গাজীপুরের শ্রীপুরে সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শ্রীপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনে জেলা পরিষদ সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এক ঘন্টাব্যাপী শ্রীপুর-গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী সড়কের কেওয়া পূর্ব খন্ড (গাড়োপাড়া) এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের, মামলার প্রধান আসামী সোহাগ মিয়া, শিপন ঢালী, মাজহারুল ইসলামসহ আসামীদের স্বজন ও অভিভাবকেরা।

মামলার বাদী শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড (গাড়োপাড়া) এলাকার একরামুল হক একচানের স্ত্রী ঝরনা আক্তার (৩০)। তিনি ওই এলাকার ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে তার ছেলে আতিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ২০১৩ সালের জুন মাসে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাদী মামলায় উল্লেখ করেন ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেল ৫টা থেকে ১৯ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত যে কোন সময় তার ছেলে আতিকুল ইসলামকে মারধর করে হত্যা করে আসামীরা। পরে হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামীরা আতিকুল ইসলামের লাশ পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করলে আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ। পরে বাদী পুলিশ প্রতিবেদনের বিপরীতে নারাজি দিলে মামলাটি পূনরায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, সিআইডি পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। বাদী ঝর্ণা আক্তার আবারো পুলিশ প্রতিবেদনের বিপরীতে আদালতে নারাজি দিলে আদালত জেলা পুলিশকে মামলা তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। বাদী ঝর্না আক্তার ও তার স্বামী একরামুল হক একচান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক বিভাগের প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে বারবার মিথ্যা মামলায় আসামীদের হয়রানি করার জন্য আদালতে নারাজি দেয়। তারা মামলার স্বাক্ষীসহ এলাকার কেউ এ মামলার বিরুদ্ধে কথা বললে তাদেরকেও ছেলে হত্যা মামলার আসামী করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে মামলাটি গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেনের তদন্তাধীন রয়েছে।

বক্তারা মানববন্ধনে আরো বলেন, ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার বাদী এ মামলার বিপরীতে কোনো স্বাক্ষী বা তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। এলাকার সকলেই জানে নিহত আতিকুল ইসলাম মৃগী (ঊঢ়বষরঢ়ংু) রোগী ছিল। সে কারণেও হয়তোবা ছেলেটি পানিতে পড়ে মারা যেতে পারে। তবে আসামীরাসহ এলাকার কেউ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা সাজানো মামলায় হয়রানি থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে মামলা থেকে মুক্তি চাই।

মামলার বাদী ঝরনা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ছানোয়ার হোসেন মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে জানান, আতিকুল ইসলাম হত্যা মমলাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তাবৃন্দ একাধিকবার আদালতে চার্জশীট দিলেও বাদীর নারাজি দেওয়ায় পুনারায় তদন্তের জন্য রয়েছে। তদন্তে যা পওয়া যবে সে অনুযায়ী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
author avatar
Editor Online
Exit mobile version