Site icon Mohona TV

জিন্নাহ এমপি’র বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা, ফাঁসলেন স্ত্রীও!

অবৈধভাবে আড়াই কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বগুড়া-২ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. শরিফলু ইসলাম জিন্নাহ ও তার স্ত্রী মিসেস মোহসীনা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা-২ এর উপ পরিচালক অজয় কুমার সাহা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি মোহনা টিভির অনলাইন কে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এই দম্পতি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে দুই কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেন। একে অন্যের সহায়তায় অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন, স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেন। এছাড়া দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৪২ টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেন। সেই সঙ্গে সম্পদের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার মামলা করা হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালে ২ ফেব্রুয়ারি ১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৮ হাজার ১১৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৮৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এমপি শরীফুল ইসলাম জিন্নাহর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও তার স্ত্রী মোহসীনা আকতারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় ২০২১ সালে ২৭ জানুয়ারি তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়।

আরও পড়ুন : বনের ভেতর মিললো “জরুরি বার্তা”- চিরকুট লেখা যুবকের ঝুলন্ত লাশ! 

এদিকে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এমপি জিন্নাহর স্ত্রী মিসেস মোহসীনা আকতার তাঁর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং দুই কোটি চার লাখ ৮১ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের অর্জনের তথ্য দাখিল করেছেন। তিনি জানান, সৌদী আরব প্রবাসী তার ভাইয়ের কাছ থেকে ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৭২ হাজার ৭০ টাকা রেমিট্যান্স হিসেবে এনেছেন। কিন্ত তার ভাই তাকে এই টাকা দান করেছেন কিনা সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য ও রেকর্ডপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি।

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version