Site icon Mohona TV

বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারে আবারো বাল্কহেডের ধাক্কা

দুই দিনের ব্যবধানে আবারো বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে বালু বোঝাই দুইটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর পিলারে এ ঘটনা ঘটে।  এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে একটি বাল্কহেড ডুবে গেলে এক শ্রমিক নিখোঁজ হয়। তাকে এখনও পাওয়া যায়নি।

এদিকে, প্রতিদিনই শত শত বাল্কহেড বালু বোঝাই দিয়ে এ নৌ পথে চলাচল করে থাকে। ক্রটিপুর্ন ও ফিটনেস বিহীন এসব বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেতু সংশ্লিষ্টরা। তবে এসব বিষয় দেখশুনার দায়িত্ব নৌ-পুলিশের হলেও অজ্ঞাত কারনে তারা উদাসীন।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে একটি বাল্কহেড ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এর ঘন্টা খানেক পর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে বালুবোঝাই আরেকটি বাল্কহেড ধাক্কা দিয়ে মাঝামাঝি অবস্থায় আটকে আছে। বিষয়টি নৌ-পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি সিরাজগঞ্জ সদরের বালুমহাল থেকে বালু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও আটকে যাওয়া বাল্কহেডটি ফরিদপুর সিএনবি ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। তবে বাল্কহেড দুটিতে থাকা শ্রমিকরা সাঁতরে নদীতীরে উঠায় কেউ হতাহত হয়নি।

ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের থাকা শ্রমিক আক্তার হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জের হাজি সাত্তারের বালু মহল থেকে বালু ভর্তি করে বাল্কহেডটি নিয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা হয়েছিলাম। নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর বাল্কহেডটি ডুবে যায়। ঘটনার সময় বাল্কহেডে থাকা ৫ শ্রমিক লাইফ জ্যাকেট পড়ে সাঁতরে রান্ধুনীবাড়ি চরে উঠেছি।

আরোও পড়ুন: লাশের গায়ে কয়েকশত লাঠির আঘাতের চিহ্ন !

বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, প্রায়ই বালু বোঝাই বাল্কহেড সেতুর পিলারে বারংবার ধাক্কা দিচ্ছে। এতে সেতুর পিলারে ক্ষতি হতে পারে। বালুভর্তি বাল্কহেড যাতে সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে না পারে সে বিষয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলা হবে।

এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, সেতুর সাথে আটকে থাকা বাল্কহেডটি কিছু সময় পর নদীতে ডুবে গেছে। ক্রটিপুর্ন ও ফিটনেস বিহীনের জন্য নয়, নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারনে বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটছে।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version