Site icon Mohona TV

চুরির অভিযোগ এনে দফায় দফায় যুবককে নির্যাতন, অতঃপর মৃত্যু!

চুরির অভিযোগ এনে রানা মিয়া নামে এক যুবককে ডেকে দফায় দফায় নির্যাতনের পর মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশবিক নির্যাতনের শিকার রানার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা খারাপ থাকায় দ্রুতই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার রাতে মৃত্যু হয় রানা মিয়ার। লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার বেদেপল্লির পাশের একটি নির্জন স্থানে। এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা রুজু  হয়েছে বলে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মোহনা টেলিভিশনকে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি তদন্ত আজিজুর রহমান আজিজ।

নিহত যুবক রানা মিয়া (৩০) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত যুবকের ভাই কবির হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মাওনা পিয়ার আলী কলেজের পেছনে রানাকে ভাঙারি দোকানের মালিক শিপন ডেকে নিয়ে যান। এরপর এলাকার আকাশ মিয়া, উজ্বল মিয়া, ও ইমনসহ কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবককে সঙ্গে নিয়ে রানার ওপর রাতভর নির্যাতন চালান শিপন। এই নির্যাতন সকাল পর্যন্ত চলে। এরপর বাবা-মা খবর পেয়ে এগিয়ে গেলে তাঁদের সামনেও রানাকে আঘাত করা হয়। বাধা দিতে গেলে ওরা বাবা-মাকেও মারধর করেন। এরপর নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর রানাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই।

রানার পিতা আমিরুল ইসলাম বলেন, জনসম্মুখ থেকে রানাকে তুলে নিয়ে দফায় দফায় নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি হাজারো আকুতি মিনতি করলেও তারা থামেনি। আমার ছেলের শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যে ওই স্থানে মারেনি। আমার ছেলের মতো ওঁদেরও মৃত্যু চাই।

এ ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন অভিযুক্ত শিপন ও তার সহযোগীরা। তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার ওসি তদন্ত আজিজুর রহমান আজিজ মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, এ ঘটনা অবগত হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। শনিবার রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তা মামলা রুজু করা হয় । জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version