Site icon Mohona TV

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ভূষির পরিবর্তে চাল আমদানিকালে ১৫৩৯ বস্তা চাল জব্দ

অধিক মুনাফা লাভের আশায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে গমের ভূষির এলসি খুলে ভারত থেকে মিনিকেট চাল আমদানিকালে দুটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ দুটি ট্রাকসহ বিপুল পরিমান চাল জব্দ করেছে।

বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টায় সদর উপজেলার ভোমরা বন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে বিজিবি কর্তৃক একটি ট্রাক এবং বুধবার রাত ১১ টায় ভোমরা বন্দরের পার্কিং ইয়ার্ডের তিন নং গেট থেকে শুল্ক বিভাগ কর্তৃক আরো একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ওই দুটি ট্রাকে প্রায় ১৫৩৯ বস্তা চাল রয়েছে বলে জানা গেছে।

ভোমরা বন্দরের প্রশাসনিক শুল্ক কর্মকর্তা দয়াল মন্ডল জানান, আমদানিকারক সংস্থা যশোরের চুকনগরের ভাই ভাই স্টোর্স এর স্বত্বাধিকারি জয়দেব মন্ডল গমের ভূষির এলসি খোলেন। সিএন্ডএফ এজেন্ট সাব্বির মোল্লার লাইন্সেসে হারুঘোষ বুধবার বিকেলে ওই মালামাল ছাড় করায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বন্দরের পার্কিং ওয়ার্ডের তিন নং গেট থেকে রাতে মিনিকেট চাল ভর্তি একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৭৭৪৩) জব্দ করে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে আরো একটি চাল ভর্তি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৫৮২৯) জব্দ করে বিজিবি।

তিনি আরো জানান, জব্দকৃত ট্রাকের চালের শুল্কসহ জরিমানা আদায় করা হবে।  প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চালের রাজস্ব পরিশোধ না করে বাংলাদেশী ট্রাকে লোড করে বন্দরের বাহিরের ট্রাক নিয়ে যাওয়ায় কাস্টমস আইন পরিপন্থী।

ভোমরা বিজিবি’র কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার অহিদুল ইসলাম জানান, শুল্ক কর্মকর্তা ও সিএন্ডএফকে ম্যানেজ করে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বুধবার গমের ভূষির পরিবর্তে চাল আমদানী করা হয়েছে মর্মে বিজিবি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পায়। এরপর ভোমরা বন্দরের পার্কিং ইয়ার্ড থেকে এ চাল ভারতীয় ট্রাক থেকে আনলোড করে বাংলাদেশী ট্রাকে ভর্তি করে সেটি দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার সময় বন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি চাল জব্দ করা হয়।

এর আগে গতকাল রাতে পাকিং ইয়ার্ডের তিন নং গেইট থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষ আরো একটি চাল ভর্তি ট্রাক জব্দ করে। তবে, ট্রাক দুটির একটিতে ৭৭০ বস্তা ও অপরটিতে ৭৬৯ বস্তাসহ মোট মোট ১৫৩৯ বস্তা চাল রয়েছে বলে উক্ত ট্রাক চালকদ্বয় তাদের জানিয়েছেন বলে তিনি জানান। প্রতিটি চালের বস্তার ওজন ২৬ কেজি বলে জানা গেছে।

তিনি আরো জানান, শুল্ক বিভাগ ও সিএন্ডএফ’র কতিপয় সদস্যকে ম্যানেজ করেই সরকারের এ বিশাল শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল বলে তিনি মনে করেন। জব্দকৃত চাল সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরিমাপ নির্ধারণ করার পর শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চাল পরিমাপের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরিমাপ শেষে সেগুলো শুল্ক গুদামে জমা দেয়া হবে।

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version