নাটোরের লালপুরে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে লালপুরের সেই অ্যাম্বুলেন্স চালককে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দিন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার খন্দকার মো. আতাউল গণি ওসমানী বলেন, বুধবার লালপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করেন ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন। এসময় আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি বিচারের জন্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করেন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর নাটোরের লালপুরে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ।
জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের পরিবর্তে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, ওই হাসপাতালের রোগীবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন।
গণমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা দেয়ার সত্যতা পান। বিষয়টিকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২২ এবং ২৮ ধারায় ফৌজদারী অপরাধ বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।