আমদানি নির্ভরতা কমাতে প্রতিটি সেক্টরের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। আর ধীরগতির প্রকল্পে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন শিল্পপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কামাল আমমেদ মজুমদার।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলতি অর্থবছরের এডিপিভূক্ত উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব নির্দেশনা দেন তারা। এ সময় সার কারখানাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে সিন্ডিকেট ভাঙতে সংশ্লিষ্টদের কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন শিল্পপ্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে সারের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিভূক্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় উঠে আসে নানা চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দিষ্ট বিষয়ে গঠনমূলক পরামর্শ দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। আর এসব পরামর্শকে নির্দেশ হিসেবে গণ্য করে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিল্পমন্ত্রী।
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন প্রকল্প পরিচালকসহ সব সংস্থার প্রধানরা। এ সময় নানা ইতিবাচক দিক তুলে ধরার পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অর্জন বাড়াতে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বন্ধ সার কারখানা চালুর পাশাপাশি বোরো মৌসুমে পর্যাপ্ত সার মজুদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। বলেন, সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ খাতের সিন্ডিকেট ভাঙতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
আগামী প্রজন্মের স্বনির্ভর ভবিষৎ নিশ্চিতে বন্ধ শিল্প-কারখানা আধুনিকায়নের পাশাপাশি এগুলো বাঁচিয়ে রাখার পরামর্শও দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী। ইতিহাসের অংশ কর্ণফুলী পেপার মিলের সুদিন ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেশপ্রেম জাগ্রত করে মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানোর ওপর জোর দেন কামাল আহমেদ মজুমদার। বলেন,এটি করা গেলে মানুষ আজীবন তাদের কথা স্মরণ রাখবে।
আর শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জ্বালানি সঙ্কটের সমাধান হলে শিল্প-কারখানার উৎপাদনও স্বাভাবিক হবে। সরকারি কর্মচারী হিসেবে নয়,দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় সবাইকে কাজ করার নির্দেশনাও দেন শিল্পমন্ত্রী।