Site icon Mohona TV

অলৌকিক ভাবে ২০ বছর আগে মৃত ব্যক্তির অক্ষত লাশ উদ্ধার 

নোয়াখালীর সেনবাগে মৃত্যুর ২০ বছর পর মোঃ সফি উল্যাহ নামের এক ব্যাক্তির কাফনের কাপড় সহ অক্ষত লাশের সন্ধান মিলেছে।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাবিলপুর গ্রামের সুফি সাহেব হুজুরের মাজার সংলগ্ন রাস্তায় সড়ক বিভাগের নির্মানাধীন একটি ব্রিজের কাজ চলছিলো। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও তাদের স্টাফ সাব্বিরের  নেতৃত্বে বেকু দিয়ে অধিক পরিমান মাটি কাটায় মাজার সংলগ্ন কবরটির মাটি  ব্রিজের নীচে পড়ে যায়। এতে করে ২০০২ সালে মৃত সফি উল্যার দাফনকৃত লাশটির মাথা বেরিয়ে পড়ে। চারিদিকে অলৌকিক এ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার লোকজন ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।

এক পর্য্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন  তপনের নেতৃত্বে এলাকাবাসী লাশটি উত্তোলন করে  ২০ গজ পূর্বে একটি  নতুন কবর খুঁড়ে পুনরায় দাফনের ব্যবস্থা করে। এতে বাঁধা দেয় মাজারের দায়িত্বে থাকা মোঃ হানিফ। এসময় স্থানীয় লোকজন ও ঘটনাস্থলে আসা হাজার হাজার জনতার প্রতিরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে সহকারী পরিদর্শক (এসআই) বিকাশ সাহা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অক্ষত  সফি উল্যার লাশ দেখে  ৯০ বছরের বৃদ্ধ কাবিলপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মোহনা টেলিভিশন কে জানান, আল্লাহর অশেষ মেহেরবান – এটি  একটি অলৌকিক ঘটনা ।

কাবিলপুর গ্রামের লোকমান  হোসেন  (৭০) ও জাফর উল্যা (৪২) জানান, লাশটি  পশ্চিম কাবিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের  ছেলে সফি উল্যার। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও নামাজি মুত্তাকীন ছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন তপন মোহনা টেলিভিশন কে জানান,মাজারটিতে শায়িত আছেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ  সুফি মোহাম্মদ উল্যা সাহেব।সফি উল্যা ছিলেন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মরহুম  সূফি সাহেবের ভাতিজা। স্থানীয় লোকজন জানায়, সফি উল্লাহ চট্টগ্রামের এশিয়াটিক কটন মিল থেকে অবসর গ্রহনের পর ৬৩ বছর বয়সে ২০০২ সালের ৩  নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।

সফি উল্যার দুই ছেলে মহিন উদ্দিন (৩৫) ও জামাল উদ্দিন (৩০) পেশায় ব্যবসায়ী।  বিশ বছর আগে দেয়া পিতার  কাফন ও লাশটি অক্ষত থাকার বিষয়ে মোহনা টেলিভিশন  কে  বলেন, তার পিতা সফি উল্যাহ একজন সৎ ও ইমানী বন্দা হিসেবে স্বীকৃত  ছিলেন। সবই ওপর ওয়ালার ইচ্ছা। তারা বলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে মাটি ভেঙ্গে মাজারের  উত্তরাংশে স্থাপিত কবরটির মাটি খসে পড়ে যায়।

অলৌকিক এ ঘটনায় কাবিলপুর সূফি হুজুরের মাজার সহ ২০ বছর আগে মৃত সফি উল্যার নতুন কবরটি দেখতে বুধবার ও শত শত লোকজন পরিদর্শন করেছে।

এ ব্যাপারে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version