Site icon Mohona TV

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় খেলার মাঠ নেই ১৬ স্কুলে-বারান্দাই ভরসা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় খেলার মাঠ নেই ১৬ স্কুলে-বারান্দাই ভরসা

স্কুলে খেলার মাঠ না থাকায় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে বসেই অলস সময় কাটাতে হয়। বইয়ের ধকলে  হাসফাস অবস্থা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থিদের।

কসবা উপজেলায় ১৬টি স্কুলে খেলার মাঠনা থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা খেলাধূলা ও চিত্তবিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয় গুলোতে ভবন থাকলেও টিফিন বিরতি কিংবা অন্যসময়েও ক্লাসে বসেই ছাত্রছাত্রীদের সময় কাটাতে হয়।

অনুসন্ধানে জানাগেছে,  উপজেলায় ১৬৩৭টিস্কুলের মধ্যে ১৬টি স্কুলে খেলার মাঠ নেই। অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থীর জন্য অবশিষ্ট ১৪৭টিতে মাঠ থাকলেও আয়তনে তা খুবই সরু। কোথাও আবার সমতল নয়। খেলাধূলায় উৎসাহ দেয়ার লোক নেই। অনেক স্কুলের খেলার মাঠ প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বগা বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কোনো খেলার মাঠ নেই। উওর চকবস্তা ও শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে একচিলতে জায়গা। লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ বলে কিছু নেই। ফলে স্কুল বারান্দায় ও গ্রিরিলের উপর এমনকি স্কুলের ছাদে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে খেলাধুলা করে।

এব্যপারে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কসবা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন,ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলা খুবই প্রয়োজন। খেলাধূলায় মন ভালো থাকে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। তাই প্রত্যেক স্কুলেই খেলার মাঠ প্রয়োজন। আইন মন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে তাই সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) নাছিমা আক্তার বলেন, অনেক স্কুলে খেলার মাঠ নেই এটা সত্য। কিন্তু আমাদেরতো কিছু করার নেই। তবে যেসব স্কুলের খেলার মাঠ দখল হয়েগেছে তা উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, স্কুলে খেলার মাঠ নেই। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে তো সব কিছু করা সম্ভব নয়।স্থানীয়এলাকা বাসীরা মাঠের জন্য জমিদান করলেও এসমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সমাজের বৃত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে।

 

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version