Site icon Mohona TV

মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারত বাংলাদেশ চলাচল করছে অথচ উত্তরবঙ্গের পার্সপোর্ট ধারীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত

মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারত বাংলাদেশ চলাচল করছে অথচ উত্তরবঙ্গের পার্সপোর্ট ধারীরা সুযোগ থেকে বঞ্চি

গত ২৭ মার্চ মিতালী এক্রপ্রেস ট্রেনটি ভার্চুয়ার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।১৯৬৫ সালের তেভাগা আন্দোলনের সময় ভারত এই রেলপথটি বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ ৫৮ বছর পর মিতালী এক্রপ্রেস যাত্রীবাহী ট্রেনটি চিলাহাটী স্টেশন হয়ে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের চলাচল করলেও উত্তরবঙ্গের পার্সপোর্ট ধারীদের ভারত যেতে হলে ঢাকায় যেতে হয়।সকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

এমিগ্রেশন ও কাস্টম অফিস না থাকায় উত্তরবঙ্গের জনগন চিলাহাটী হয়ে ভারত যেতে পারেনা। তাদেরকে ঢাকা হয়ে মিতালী এক্সপ্রেস রেলপথে চিলাহাটী হয়ে ভারত যেতে হয়।ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি মিতালী এক্সপ্রেসের রেলপথ দূরত্ব ৫৯৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে ভারতের অংশে ৬৯ কিলোমিটার। মিতালী এক্রপ্রেস যাত্রীবাহী ট্রেনটি ভারত সীমান্তের নিউজলপাইগুড়ী স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের নীলফামারীর চিলাহাটী হয়ে ঢাকা ক্যান্টরমেন্ট পর্যন্ত চলাচল করছে।ট্রেনটি ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে সপ্তাহে দ’ুদিন রবি ও বুধবার চলাচল করবে ঢাকা ক্যান্টমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত।বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টমেন্ট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার চলাচল করবে।

ইন্ডিয়া ট্রেন যাতায়াত করতেছে,মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করতেছে এই ট্রেন দু দেশের মধ্যেযাতায়াত করতেছে। অত্র এলাকায় আমাদের কোন সুযোগ সুবিধা নাই।আমরা বঞ্চিত।আমরা পার্সপোর্ট করলাম একটা রোগীকে নিয়ে আমরা ভারত যাবো অথচ আমরা এই চিলাহাটীতে উঠতে পারবোনা নামতে পারবোনা। আমরা এখানে এখানে একটা চেকপোস্ট চাই,একটা কাস্টমচাই। আমাদের স্থলবন্দরের দাবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

অত্র এলাকার পার্সপোর্ট ধারী জনগন যেমন নীলফামারী, ডোমার, রংপুর, চীলাহাটী বিশেষ করে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষের সমস্যা। এখানে তারা পার্সপোর্ট করার পরে চিলাহাটী হয়ে ভারতে যেতে পারেনা বা ভারত থেকে এসে চিলাহাটীতে নামতে পারেনা। কারন এখানে ইমিগ্রেশন নাই, কাস্টম ক্লিয়ারেন্স নেই। এজন্য তাদেরকে ভারত যেতে হলে ঢাকা ক্যান্টরমেন্ট থেকে ইমিগ্রশন করে মিতালী এক্রপ্রেস ট্রেনে চড়ে ভারত যেতে পারবে। এবং ভারত থেকে আসার সময়ও এ অঞ্চলের মানুষের এখানে চিলাহাটী স্টেশনে স্টোপিস অফিস থাকা সত্বেও তারা এখানে নামতে পারেনা।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version