রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অন্ত:স্বত্তা প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রেমিকসহ ৫ জনকে আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও অপর ঘটনায় প্রেমিককে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলায় প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ২ এর বিচারক রোকোনুজ্জামান ও ৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এই আদেশ দেন।
ট্রাইবুনাল-২ এর পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন জানান, প্রেমের সূত্র ধরে গঙ্গাচড়ার নরসিং মর্নেয়া এলাকার সামসুল আলমের পুত্রের সাথে শারীরিক মেলামেশায় একই এলাকার শান্তনা আখতার অন্ত:স্বত্বা হয়। শান্তনা বিয়ের জন্য চাপ দিলে ২০১৫ সালের ১৪ মে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আবুজারসহ ৫ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষনের পর তাকে গলা টিপে হত্যা করে ধইঞ্চা ক্ষেতে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় শান্তনার নানা আইয়ুব আলী মামলা করলে পুলিশ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়।। দীর্ঘ সময় ধরে স্বাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় প্রধান আসামী প্রেমিক আবুজার, সহযোগি আব্দুল করিম, নাজির হোসেন, আমিনুর রহমান এবং আলমগীর হোসেনকে আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ দেন। এদের মধ্যে আলমগীর পলাতক রয়েছে।
এছাড়াও ট্রাইবুনাল ৩ এর পিপি তাজিবুর রহমান লাইজু জানান, ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর রংপুরের তারাগঞ্জের দামোদরপুর কাজী পাড়া এলাকায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রেমিকা মাসুদাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক মিঠুন শেখ।।এই ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় মামলা হলে পুলিশ চলতি বছর ২৯ শে মে চার্জশিট দেয়।সাক্ষ্য এবং জেরা শেষে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিচারক মিঠুন শেখের যাবজ্জীবান কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। এই রায়ে বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলায় জড়ানোর কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অবজারভেশনও দেয় আদালত।