জেলা সদরে ছোট ভাইয়ের দা’র কোপে খুন হয়েছে বড় ভাই তোফায়েল আহমেদ (৫২)। এ ঘটনায় ছোট ভাই হোসেন আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডস্থ লাহারকান্দি গ্রামের দমদমা পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তোফায়েল একই এলাকার আজিজ উল্যা দফাদার বাড়ির মৃত মমতাজুর রহমানের ছেলে। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে থাকলেও তারা ঢাকায় বসবাস করে। তিনি গত প্রায় ৩ মাস যাবত বাড়িতে একাই থাকেন ।
অভিযুক্ত হোসেন তার আপন ছোট ভাই। সে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় ও স্বজনরা জানায় , এশার নামাজ পড়ে তোফায়েল স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে যান। চা খেয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় দমদমা দিঘিরপাড়ে হোসেন তার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তার দু পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়দের ধারণা, কুপিয়ে আহত করার পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তবে এসময় ঘটনাস্থলে কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
স্বজনরা জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরধের জের ধরে প্রায়ই তোফায়েল ও হোসেনের সঙ্গে ঝগড়া হতো ৷ বুধবার সকালে তোফায়েলের সঙ্গে হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় হোসেন বাড়িতে এলে জেসমিন তার কাছে বিচার দেয়। এসময় জেসমিন জানায় তোফায়েল তাকে মারধর ও গলা টিপে ধরে। এসব শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হয় হোসেন। পরে দা দিয়ে কুপিয়ে বড় ভাইকে হত্যা করেন তিনি।
তোফায়েলের বোন হোসনেয়ারা বেগম ও ভাতিজি ফারজু আক্তার জানান, তোফায়েল মানসিকভাবে অসুস্থ। তারপরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হোসেন তার স্ত্রীর কথায় প্ররোচিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা দুইজনেই এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
আরোও পড়ুন: বিএনপি কোথায় জনসমাবেশ করবে এটা বিএনপির সিদ্ধান্ত: আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
এদিকে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
