Site icon Mohona TV

বিড়ালের অভিশাপ লেগেছে ব্রাজিল দলের ওপর?

ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। চোখের পানিতে এদিন মাঠ ছাড়েন নেইমার-ভিনিসিয়াসরা।

দুর্দান্ত খেলেও টাইব্রেকারে হারে সেলেসাওরা। বিষয়টা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না ব্রাজিল সমর্থকরা। এরই মধ্যে টুইটারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেকেই খোঁচা দিয়ে বলছে, বিড়ালের অভিশাপ লেগেছে ব্রাজিল দলের ওপর। তাই তারা হেরেছে।

অবিশ্বাস্য হলেও এই কথাটাকে সত্যি মানছে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলো। তারা বলছে, ব্রাজিলের পরাজয়ের কারণ এই বিড়ালের অভিশাপ।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ব্রাজিলের তরুণ প্রতিভা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সেসময় ঘটে এক অবাক কাণ্ড। হঠাৎই ব্রাজিলের ফুটবলার এবং গোটা মিডিয়া রুমকে চমকে দিয়ে টেবিলে উঠে পড়ে একটি বিড়াল। ভিনিসিয়াসের থেকে কিছুটা দূরে বসে সে-ও শুনতে লাগল সংবাদ সম্মেলন!

প্রথমে চমকে গেলেও পরে হাসিতে ফেটে পড়েন ভিনিসিয়াসসহ উপস্থিত সাংবাদিকরা। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। ব্রাজিল তারকা নিজেও বেশ মজা পাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্রাজিলের মিডিয়া ম্যানেজার হঠাৎই সেই বিড়ালটিকে ঘাড় ধরে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেন।

https://twitter.com/i/status/1601273486017957888

সেটা উপস্থিত অনেক সাংবাদিকই মেনে নিতে পারেননি। ফলে তৈরি হয় বিতর্ক। ভিনিসিয়াসের পাশেই বসেছিলেন ব্রাজিল দলের মিডিয়া কর্মকর্তা। বিড়ালটি টেবিলে উঠে বসার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে কার্যত ছুড়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।

এ ঘটনা দেখে কিছুটা চমকে যান ভিনি। সাংবাদিকরাও কেউ কেউ ওই অফিসারের সমালোচনা করেন। কিন্তু ভঙ্গিতে ব্রাজিলের ওই মিডিয়া অফিসার বোঝাতে থাকেন। এছাড়া তার কিছু করার ছিল না। তার মধ্যে কোনও তাপ-উত্তাপ দেখা যায়নি। কাঁধ ঝাঁকিয়ে তিনি নিজের আসনে বসে পড়েন।

কাতারের রাজধানী দোহায় প্রায় সব দেশের প্র্যাকটিসেই গ্যালারিতে বিড়াল ঘুরতে দেখা যায়। আবার দেশটিতে বিড়ালকে সৌভাগ্যের প্রতীকও ভাবা হয়। বিড়ালকে কষ্ট দিলে তার অভিশাপ লাগে বলেও মনে করা হয়।

কেউ কেউ টুইটারে লিখছেন, বিড়ালের সঙ্গে কখনো খারাপ আচরণ করো না। একজন লিখেছেন, প্রেস কনফারেন্সে ব্রাজিল মিডিয়া অফিসিয়াল যেভাবে বিড়ালের সঙ্গে আচরণ করেছে, এ কারণেও তারা জয় পেতে পারে না।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version