Site icon Mohona TV

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। পাকিস্তানের কারাগারে সাড়ে নয় মাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২’র এ দিনে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের মাটিতে পদার্পণ করেন তিনি। তার আগমনেই পূর্ণতা পায় বিজয়ের আনন্দ,এমন মন্তব্য করলেন বিশিষ্টজনরা। বললেন, ফেরার আগেই দেশ নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করেছিলেন জাতির পিতা।

সংকল্পে অবিচল দৃঢ় প্রত্যয়ী একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু। তাঁর জন্মই যেনো হয়েছিলো সাড়ে সাত কোটি বাঙালীকে পরাধীনতা আর বৈষম্যের শেকলমুক্ত করতে। অকুতোভয়, বজ্রকন্ঠের অধিকারী এ বাঙালীর পক্ষেই কেবল সম্ভব হয়েছিলো পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর দিকে অঙ্গুল তোলার।

স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় চলে আসা স্বাধীনতার ডাক, যা তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর আগেই দিয়েছিলেন। হানাদার বাহিনী ওইদিন প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধুকে আটক করে পাকিস্তান নিয়ে যায়।

দীর্ঘ প্রায় নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১’এর ১৬ ডিসেম্বর জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমার্পণ করে হানাদার বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। যুক্তরাজ্যের লণ্ডন হয়ে দিল্লী আসেন বাঙলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে মহানায়ককে বহনকারী বিমান অবতরণ করে ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে। তাকে এক নজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত ভিড় জমায় লাখো মানুষ। তাইতো পরিবারের সদস্যদের রেখে ছুটে যান ভালোবাসার প্রিয় মানুষগুলোর কাছে। এরপর ফেরেন পরিবারের সান্নিধ্যে।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমুর মতে, জাতির পিতার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছিলো স্বাধীনতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পূর্নগঠনসহ তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তারা।

দেশীয় কুলাঙ্গার আর পাকিস্তানী দোসরদের ষড়যন্ত্রে ৭৫’এর ১৫ আগস্ট  জাতি হারায় তার জনককে। তাই যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিলেন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকী।

দূর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের মধ্য দিয়েই একদিন জাতির পিতার স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে। আর সে স্বপ্ন পূরণের পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্যকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version