গাজীপুরের শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নিজমাওনা গ্রামে থাকার ঘরের ধর্ণায় ঝুলন্ত রনি আহমেদ (১৯) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার সকাল সাতটায় মরদেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।
রনি আহমেদ ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।
স্বজনরা জানান, শুক্রবার রাতে রনি তার থাকার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন শনিবার ভোরে ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ হয়। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে বাঁধা গামছায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়।
এলাকার বেশ কয়েকজন স্বজনের ভাষ্য, গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল রনির। গত ৬ জানুয়ারি ওই মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে রনি বিচলিত হয়ে পড়েন। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে তিনি তার ফেসবুক টাইম লাইনে লিখেন, ‘ আর কখনো কারো কাছে কিছু চাইবো না। সবাই ভালো থাইকেন। আর আমার জন্য দোয়া কইরেন। আর হয়তো কোনো পোস্ট করা হবে না’। স্বজনদের ধারণা, পছন্দের প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তিনি অভিমান করে আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছেন।
শ্রীপুর থানাধীন মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মিন্টু মিয়া মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনার স্থলে পৌছবো।