Site icon Mohona TV

বান্দরবানের রুমা থেকে কেএনএফ সশস্ত্র গোষ্ঠীর লাশ উদ্ধার

বান্দরবানের রুমা থেকে কেএনএফ সশস্ত্র গোষ্ঠীর লাশ উদ্ধার

পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরআগে শনিবার রাতে গোলাগুলির আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় রুমার দূর্গম এলাকার বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা।

পরে রবিবার(২৯ জানুয়ারি) ঘটনাস্থলে কাছাকাছি আরথাহ পাড়া ও বাচলং পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে গিয়ে পুলিশ ১টি লাশ উদ্ধার করে।

গতকাল শনিবার (২৮জানুয়ারী) রাতে গোলাগুলির ঘটনায় পাইন্দু ইউনিয়নে মুয়ালপি পাড়া থেকে ৪০জন বাসিন্দা পালিয়ে রুমা উপজেলা সদরে চলে আসে। পরে আজ রবিবার (২৯জানুয়ারী) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় দূর্গম রুমা উপজেলায় ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে ১টি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে পালিয়ে আসা ৪০ পরিবারকে মারমা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কার্যালয়ে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গেল বছরের ১৭অক্টোবর থেকে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী দূর্গম বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থান করে। সেখানে সম্প্রতি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটছে। তাদের অবস্থানের কারণে পাড়াবাসীরা আতংকিত হয়ে বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দারা ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। এদিকে দূর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে ১টি লাশ উদ্ধার করার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ।

এঘটনায় শনিবার রাতে মুয়ালপি পাড়া থেকে শিশু ও নারীসহ ৪০জন বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে রুমা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছে।তাদেরকে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির কারণে পাড়ার মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও আরও অনেকে পালিয়ে আত্মীয় স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পাড়ায় এখন মানুষজন নেই।

অপরদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, পাহাড়ী সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ এর সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে গোলাগুলির ঘটনায় আতংকে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ৪০জন বাসিন্দা। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১টি লাশ উদ্ধার করা হয়।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version