Site icon Mohona TV

নোয়াখালীতে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়

নোয়াখালীতে পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়
নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়েছ পুলিশ। এসময় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় মানিক , ইসমাইল, রুবেল, নাজমুল ও রোবেল হোসেন রবিন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ, একটি রামদা, একটি ছুরি, দুটি লোহা-স্টিলের পাত ও একটি প্রাইভেটকার।

আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অস্ত্রসহ ৪জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পৃথকস্থানে এ অভিযান চালায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে বেগমগঞ্জের আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের গোবিন্দেরখিল গ্রামের দিদারুল আলমের বাড়ি এলাকায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একদল অস্ত্রধারি অবস্থান করছে ।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন তথ্য পেয়ে ওইস্থানে অভিযান চালায় বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সবুজের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়তে থাকে সন্ত্রাসীরা। কোন উপায় না পেয়ে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও চার রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্তভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে রোবেলকে একটি বন্দুক, একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড কার্তুজ সহ গ্রেপ্তার করা হয় ।

এদিকে মঙ্গলবার ভোরে নোয়াখালী পৌর এলাকার চুল্লার দোকান এলাকার নাহার ভবনের পাশে একটি গাড়ি নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় অভিযান চালায় সুধারাম থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলে থাকা কয়েকজন পালিয়ে গেলেও গাড়ি এবং গাড়িতে থাকা অস্ত্র সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে, ডাকাতির ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রস্তুতির ঘটনায় উভয় থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বেগমগঞ্জে পুলিশের ওপর গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজ বাহিনীর প্রধান সবুজ সহ তার দলের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version