Site icon Mohona TV

বগুড়ার শাজাহানপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির রহস্য উদঘাটন !

বগুড়ার শাজাহানপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির রহস্য উদঘাটন

বগুড়ার শাজাহানপুরে নর্দান হ্যাচারীজ লিমিটেড থেকে ডাকাতি হওয়া সোয়া ৭০ লাখ টাকার মালামালসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে দু’জন ট্রাক ড্রাইভারও আছেন।

সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার ঢাকার কদমতলি ও মানিকগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের মনছুর আলীর ছেলে ট্রাক চালক ফজলুর রহমান (৩২), ঢাকা জেলার সাভারের মৃত কছিমুদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫) ও চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় কারবারী ঢাকা মহানগরের শামপুর থানার ইস্কান্দার মুন্সির ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৩১)।

পুলিশের দাবি তারা সবাই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য ও শাজাহানপুরে সংঘটিত হওয়া দুধর্ষ ওই ডাকাতির সাথে জড়িত।

আজ বুধবার (১৫ মার্চ) বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, ৬ মার্চ জেলা শাজাহানপুরে নর্দান হ্যাচারীজ লিমিটেড দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৮ থেকে ৯ জন সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে সেখানে প্রবেশ করে দারোয়ানসহ প্রতিষ্ঠানের ১৩ কর্মচারীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে রাতভর মালামাল লুট করে।

এরপর ৭ মার্চ ভোরে ডাকাতদলের সদস্যরা দুইটি ট্রাকে প্রতিষ্ঠানের ৩৯ রকমের যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যায়। নর্দান হ্যাচারীজ লিমিটেডের এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় যাবত বন্ধ থাকায় ডাকাতরা সহজেই তাদের অপরাধ সংঘটিত করে।

এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ফোরম্যান আব্দুর রহমান বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় ৭ মার্চ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭০ লাখ ২১ হাজার ৪৩০ টাকার মালামাল লুট হওয়ার দাবি করা হয়।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ মামলার পরেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযানে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও ছায়া তদন্তের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ থেকে সোমবার দিবাগত রাতে দুই ট্রাক ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা নিজেরাও সরাসরি ডাকাতির এই ঘটনার সাথে জড়িত। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহত তাদের ট্রাক দুইটি জব্দ করা হয়েছে।  পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার কদমতলি থেকে লুট হওয়া মালামালের সিংহভাগসহ তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

পুলিশ সুপার আরও জানান, লুট হওয়া মালামালের বাকি অংশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। পাশাপাশি জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে৷ গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানোর পর রিমান্ড চাওয়া হবে৷

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version