Site icon Mohona TV

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র মামলায় একব্যক্তির ১০ বছরের কারাদণ্ড 

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র মামলায় একব্যক্তির ১০ বছরের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুর জেলায় অস্ত্র মামলায় মাকসুদুর রহমান (২৯) নামে একব্যক্তির ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।আজ সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ফিরোজ আলম পেয়ার (২১) নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাকসুদুর রহমান নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার কালাদরাপ ইউনিয়নের সল্যাডগি গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত ফিরোজ একই থানাধীন পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চর কাউনিয়া গ্রামের আবু ছায়েদ ভূঁইয়ার ছেলে।

আদালত সূত্র জানান, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর জেলার কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। ভোট গ্রহণের আগের দিন রাতে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা যৌথ টহল দেয়। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মাকসুদুর রহমান ও ফিরোজ নির্বাচনী এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে।

তারা চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট দেখে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের দুইজনকে আটক করে। পরে মাকসুদের দেহ তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরী এলজি উদ্ধার করা হয়। তার সহযোগী ফিরোজের কাছ থেকে নাম্বার বিহীন একটি মোটরসাইকেল পাওয়া যায়।

পরে ওই রাতে কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সেই সময়ের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মাকসুদুর রহমান ও ফিরোজ আলমকে আসামী করে কমলনগর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন কমলনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব কুমার সিংহ। তিনি মাকসুদুর রহমান ও ফিরোজকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবদেন দেন। এছাড়া আসামী ফিরোজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে সুধারাম থানায় আরও ৫ টি মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আসামী মাকসুদুর রহমানকে ১০ বছরের সাজা ও ফিরোজকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version