Site icon Mohona TV

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সুবিধা অর্জনের জন্য বিজিএমইএ-ওয়ার্ল্ডেক্স একযোগে কাজ করবে

বিজিএমইএ ওয়ার্ল্ডেক্স

বাংলাদেশ ও ভারতের বানিজ্য সম্ভাবনাগুলো, বিশেষ করে টেক্সটাইল ও পোশাকখাতের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বিজিএমইএ এবং ওয়ার্ল্ডেক্স ইন্ডিয়া।

ট্রেড শো’র মাধ্যমে পোশাক, টেক্সটাইল, কেমিক্যালস, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য কাঁচামালের সরবরাহকারী এবং রপ্তানিকারকদের কাছাকাছি আনতে সংস্থা দু’টি যৌথভাবে কাজ করবে।

ওয়ার্ল্ডেক্স এর নির্বাহী পরিচালক আরতি ভগত সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ওয়ার্ল্ডেক্স ইন্ডিয়ার সিনিয়র হেড (অপারেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং) জহির মার্চেন্টও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তারা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের একত্রিত করতে এবং আরও ব্যবসায়িক যোগাযোগের সুবিধার্থে প্লাটফর্ম তৈরি করতে বিজিএমইএ এবং ওয়ার্ল্ডেক্স ইন্ডিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বর্তমান ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য টেক্সটাইল এবং পোশাক খাতে একে অপরকে সহায়তা করার মাধ্যমে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা অর্জনের বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে। ফারুক হাসান বলেন, “বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক পোশাকসহ উচ্চ-মূল্য সংযোজিত পোশাক সাথে করে প্রবৃদ্ধির পরবর্তী স্তরে যাওয়া এবং ভারত এমএমএফ, কেমিক্যালস, ডাইস এবং অন্যান্য কাঁচামালের একটি প্রধান সরবরাহকারী। অন্যদিকে, ভারত তার টেক্সটাইল রপ্তানি বাড়াতে চায়।”

ভৌগোলিক নৈকট্য এবং চাহিদা-সরবরাহের মিলের প্রেক্ষিতে, উভয় দেশের জন্য একে অপরের পরিপূরক হওয়া এবং সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশী পোশাক রপ্তানিকারক এবং ভারতীয় টেক্সটাইল পণ্য সরবরাহকারীদের মধ্যে আরও সরাসরি ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে ফারুক হাসান বলেন, এটি পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা অর্জনে সহায়তা করবে। অর্থপূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version