Site icon Mohona TV

বেশী ঝাল খাওয়ার পর শরীরের কী অবস্থা হয়?

ঝাল খাওয়ার পর শরীরের কী অবস্থা হয়

ঝাল খাওয়ার পর শরীরের কী অবস্থা হয়

হাতেচোখেমুখে লঙ্কা লাগলে জ্বালা করে, সেটা যদি পেটে যায় তাহলে তার কী ক্ষতি?
বেশি ঝাল খাবার বা  শুকনো মরিচের ঝাল নিত্য খাদ্যনালির মধ্যে দিয়ে যেতে থাকলে অতিরিক্ত ঝালে খাদ্যনালিরও ক্ষতি হয়। বিশেষত যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাঁরা বেশি শুকনো মরিচের খেলে পাকস্থলীতে একটা জ্বালাভাব শুরু হয় এবং বেশি পরিমাণে গ্যাসট্রিক অ্যাসিড তৈরি হয়। হজমের গোলমাল, তার উপর ঝাল খেলে গলা, বুক ও পেট জ্বালা করে ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত শুকনো মরিচের ঝাল ডায়েরিয়াও সৃষ্টি করে। যাঁদের বারংবার মলত্যাগ করার সমস্যা আছে তাদেরও বেশি শুকনো মরিচের খাওয়া অনুচিত। একদম চোখ-মুখ লাল করা ঝাল খাবার বা শুকনো মরিচের ঝাল পেটে আলসারের ঝুঁকিও ডেকে আনে। কাঁচামরিচ ও বেশি খেলে ক্ষতি।

অতিরিক্ত ঝাল পেটের সমস্যা ছাড়া আর কী কী খারাপ করে শরীরের?
মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খেলে চোখ, নাক দিয়ে জল পড়া, গরম বা জ্বালাভাব তৈরি হয় শরীরে যা কষ্টদায়ক। রাতে ঘুমানোর আগে খাবারের সঙ্গে বেশি ঝাল লঙ্কা খেলে গলা পেটে গরমভাব বা জ্বালা উৎপন্ন হয়ে একটা অস্বস্তিবোধ থেকে ইনসমনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। লঙ্কার ঝাল কারও ত্বকের সংস্পর্শে এলে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। সহ্য করতে পারেন বলে বেশি ঝাল খাবেন তা একেবারেই নয়।

গর্ভাবস্থায় খাবারে ঝালের পরিমাণ কতটা হওয়া উচিত?
একটি মেয়ে ছোট থেকে বাড়িতে যতটা ঝাল খায় সে গর্ভাবস্থায় সমান ঝাল খেতে পারে। কিন্তু এই সময় প্রয়োজনের বেশি ঝাল খেলে প্রথম তিনমাস যাদের খুব বমি হয় তাদের বমিভাব আরও বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং তখন ঝালকে এড়িয়ে চলা শ্রেয়। পরবর্তী ৬-৯ মাসের গর্ভাবস্থায় হরমোনাল ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন খাদ্যনালির স্ফিঙ্কটার বা গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল স্ফিংকটার (Gastroesophagealer sphincter) রিল্যাক্স থাকে। সেই সময় ঝাল খেলে বুকজ্বালা অম্বলের সমস্যা বাড়ে। ঝালের কারণে মায়ের বমি বা হজমের সমস্যা বাড়লে ভ্রূণের বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।

 

author avatar
Editor Online
Exit mobile version