Site icon Mohona TV

গাঁটের ব্যথা অবহেলা না ফল হতে পারে মারাত্মক

গাঁটের ব্যথা অবহেলা না ফল হতে পারে মারাত্মক

গাঁটের ব্যথা অবহেলা না, ফল হতে পারে মারাত্মক

গাঁট ফোলা (Joint Pain) অর্থাৎ শরীরের জয়েন্ট ফুলে যাওয়ার সমস্যা কম-বেশি অনেকেরই হয়। তবে অধিকাংশই এই সমস্যা খুব হালকা করে নেন। আবার শিশুদের গাঁট ফোলা আরও মারাত্মক। কারণ শিশুদের এই কারণে সারাজীবনের মতো হাঁটতে, বসতে বা চলতে অসুবিধা থেকে যেতে পারে। ওপিডিতে এই ধরনের সব বয়সি রোগীদের সংখ্যা বেশ বেড়েছে, তবে সবচেয়ে চিন্তার হয়, যখন শিশুরা এই রোগ নিয়ে আসে।

সংক্রমণজনিত : সংক্রমণের জন্য গাঁট ফোলে। ব্যাকটিরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন (জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে সংক্রমণ জয়েন্টে চলে যায়), কখনও হার্টের সমস্যা তা থেকে সংক্রমণ, পুষ্টির অভাবে বারবার সংক্রমণ বা সদ্যোজাতর আম্বিলিক্যাল কডের সংক্রমণের দরুন শরীরের নানা জয়েন্টে ব্যথা বা ফোলা শুরু হয়।

প্রদাহজনিত : সাধারণত শরীরে কোনও প্রদাহ  হলে তা থেকে শরীরের ছোট ছোট জয়েন্টে যেমন আঙুলের গাঁট, হাতে কবজি, পায়ের গোড়ালির জয়েন্টে ব্যথা হয় বা ফোলে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অ্যাঙ্কালোসিস স্পন্ডেলাইটিস হয় এই প্রদাহজনিত কারণে। সকালের দিকে বেশি ব্যথা হয়। এই প্রদাহ সাধারণত ইমিউনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশনের জন্য হয়। ফলত গাঁটে পানি জমে ও ফুলে যায়। হালকা জ্বর আসে, সকালের দিকে বেশি ব্যথা হয়। সাধারণত রক্ত পরীক্ষা করে এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।

ইউরিক অ্যাসিড থেকে: ক্রিস্টাল আর্থ্রাইটিস সাধারণত বয়স্কদের হয়। ইউরিক অ্যাসিড বা ক্রিস্টাল জমে গাঁট ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, কারও কারও জ্বরও আসে, ব্যথা শুরু হয়। এটা বয়স্কদেরই বেশি হয়। মেটাবলিক ও নন-মেটাবলিক কারণে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। সাধারণত কোনও রোগের কারণে যেমন ক্যানসারের জন্য শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। আবার নন মেটাবলিক কারণ যেমন অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান করলে, বেশি রেডমিট খেলে, কিছু ধরনের ডাল বেশি খেলে তা থেকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে পারে।

বয়সজনিত : বয়সের ভারে হাড়ের ক্ষয় স্বাভাবিক। এই কারণে যে সমস্যা বেশি হয় তা হল অস্টিওআর্থ্রাইটিস। ৬০-৭০ ঊর্ধ্বদের গাঁট বা হাঁটু এই কারণে ফোলে। বয়সের জন্য হাঁটুর কার্টিলেজ নষ্ট হয়ে গিয়ে হাঁটুর স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি নষ্ট হয়। হাঁটুর জয়েন্টে ঘষা লেগে ফুলতে থাকে, ব্যথা হয়।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version