গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় গ্রামের একটি বাড়ি থেকে নার্গিস আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর মরদহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর সন্তানসহ পালিয়ে গেছেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে থাকার ঘরের বিছানায় নার্গিস আক্তারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দুপুরের দিকে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নার্গিস ওই গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে স্বামী হৃদয় মিয়া (২৮) গাজীপুর সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মোঃ আলীমুল হাজীর ছেলে।
স্থানীয়রা ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, হৃদয় নার্গিসের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। তাদের চার বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। হৃদয় মাঝে মাঝে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তবে নার্গিস গৃহিণী। নার্গিসের মা বিনা আক্তার শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত। রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালন করে সকাল সোয়া আটটায় তিনি বাড়ি ফিরেন। এ সময় বাড়িতে নার্গিস ও হৃদয়ের থাকার ঘরটি বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পান। এগিয়ে গিয়ে দরজা খুলেই দেখেন বিছানায় তার মেয়ে নার্গিসের অচেতন দেহ পড়ে আছে। তিনি চিৎকার শুরু করেন। স্বজনদের সহযোগিতায় তাকে মাওনা চৌরাস্তার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নার্গিসের মা বিনা আক্তার বলেন, স্বামী নার্গিসকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে বলে তাঁদের ধারণা। যাওয়ার সময় চার বছর বয়সী সন্তানকেও নিয়ে গেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মনে হচ্ছে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী আত্মগোপন করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এবং তদন্ত করে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিব। আমরা পলাতক স্বামীকে খোঁজ করছি ।
