Site icon Mohona TV

জাতিসংঘের স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন রাষ্ট্রপতির

জাতিসংঘের স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন রাষ্ট্রপতির

জাতিসংঘের স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন রাষ্ট্রপতির

শুক্রবার (১৯ মে) এক শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রেজুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগকে দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ হিসেবে উল্লেখ করেছে যা প্রধানমন্ত্রীর এবং বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তা, মেধা, প্রজ্ঞা, সাহস ও যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে।

চিকিৎসাসেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো স্বাস্থ্য খাতেও লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ কার্যক্রম এবং তার এই উদ্যোগ আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ উদ্যাগের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফসল।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, বিশ্বের যেসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় সেসব দেশে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেল হিসেবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে প্রচেষ্টা থামিয়ে দেয়।

তিনি উল্লেখ করেন, কিন্তু ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সুগম হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে উন্নয়নের অভিযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালে আবার তা মুখ থুবড়ে পড়ে। উন্নয়নের চাকা উল্টোপথে ঘুরতে থাকে।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলাসহ বহুবার বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর হামলা হয়েছে এবং মহান আল্লাহর অশেষ রহমতই সব বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করেছে।

‘২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে শুরু হয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পালা’—যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও অব্যাহত কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন

সুত্র: বাসস

author avatar
Editor Online
Exit mobile version