Site icon Mohona TV

মধুটিলা ইকোপার্কে চিড়িয়াখানার হরিণ জবাই, আটক-১

মধুটিলা ইকোপার্কে চিড়িয়াখানার হরিণ জবাই আটক ১

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্কের মিনি চিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটি জবাই করে মাংশ খাওয়ার  অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৩০ মে) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৭ হতে ৮ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও বাদশা মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বনবিভাগ। পরে তার কাছ থেকে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

মধুটিলা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতায় মধুটিলা-ইকোপার্কের ভেতরে মিনি চিড়িয়াখানায় দুইটি হরিণ ছিল। এর মধ্যে গত ৯ এপ্রিল একটির মরদেহের অংশ বিশেষ পার্কের ভেতরেই পাওয়া যায়। ওই হরিণটি বন্য শিয়াল খেয়ে ফেলেছে বলে জানান বন কর্মকর্তারা। পরে চিড়িয়াখানায় থাকা একটিমাত্র চিত্রা হরিণটি গত রোববার রাতে বাতকুচি নামাপাড়া এলাকার কতিপয় দুর্বৃত্ত চুরি করে জবাই করে।  পরে হরিণের মাংশ ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় তারা।

সোমবার বিষয়টি জানতে পেয়ে বন বিভাগের লোকজন শুরু করেন তদন্ত। বিকালে বাতকুচি বাজার থেকে সন্দেহাতীতভাবে ওই গ্রামের বাদশা মিয়াকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাদশা মিয়ার পুকুর থেকে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। বাদশা মিয়া বাতকুচি গ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে।

প্রাপ্ত বয়স্ক হরিণটির ওজন প্রায় ৫০ কেজির উপরে ছিল। জবাই করার পর ৫০ কেজি মাংস ভাগাভাগি হয়েছে বলেও জানান মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী শেরপুর আদালতে একটি মামলা করা হয়।  আজ মঙ্গলবার আটককৃত বাদশাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও হরিণ জবাইয়ের ঘটনায় ৭ / ৮ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদেরও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র মতে, মধুটিলা ইকোপার্কে তদারকির অভাবে হরিণ দুটির বিলুপ্তী ঘটেছে। এর সুষ্ট তদন্ত চান স্থানীয় সচেতন মানুষরা।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version