Site icon Mohona TV

পদ্মার ভাঙ্গনে নদীর গর্ভে শত শত একর ফসলি জমি

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তীব্রতায় রাজবাড়ীর মিজানপুরে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ছবি: মোহনা সংবাদ

রাজবাড়ী পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তীব্রতায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বিপদে পড়েছে রাজবাড়ীর মিজানপুরে ৩টি গ্রামের অন্তত ৪/৫ হাজার মানুষ। এছাড়া নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত একর ফসলি জমি।

চলমান ভাঙ্গনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের অন্তত ৪/৫ হাজার পরিবারের মাঝে ভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারনে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার বিলীন হচ্ছে বিভিন্ন ফসলী জমি ও গাছপালা। ভাঙ্গন ঠেকাতে বেশিরভাগ স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হলেও বেশির ভাগ ভাঙ্গন স্থানে বস্তা না ফেলার অভিযোগ স্থানীয়দের।

ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন এখন জনবসতির কাছে এসে ঠেকেছে। এ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, মহাদেবপুর ও জৌকুরা এলাকার ৪/৫ হাজার পরিবার এখন ভাঙ্গন আতঙ্কে বসবাস করছে।

স্থানীয়রা বলেন, কতৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করা হলেও তারা বালুর বস্তা ফেলেনি। একাধিকবার ভাঙ্গনে এখন দিশেহারা নদী তীরবর্তী এসব সাধারন মানুষ। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় কিভাবে বসবাস করবেন সে দুঃশ্চিন্তায় কাটছে তাদের দিন রাত।

নদী তীরবর্তী মিজানপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বলেন,গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আমাদের এলাকায় ভাঙ্গন চলমান রয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও পানি কমলে দুই সময়েই ভাঙ্গন দেখা দেয়। বার বার ভাঙ্গনের কারনে এখন দিশেহারা হয়ে পরেছি আমরা।

স্থানীয় ভাঙ্গন কবলিতরা বলেন,পুরো ভাঙ্গন এলাকায় বালুর বস্তা না ফেলে কিছু স্থানে ফেলে চলে যাওয়ায় আমরা ৪/৫ হাজার পরিবার ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছি। একাধিক বার ভাঙ্গনে এখন আর কোথাও জমি কিনে বাড়ি করার সামর্থ নেই আমাদের। শীগ্রই ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তারা।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম,এ, শামীম মোহনা টেলিভিশনকে বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙ্গন কবলিত যেসকল স্থানে বরাদ্দ পাওয়া গেছে সেসব স্থানে বালুভর্তি জিও টিউবের বস্তা ফেলা হয়েছে। অন্যান্য ভাঙ্গন স্থানে বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে বালুর বস্তা ফেলা সম্ভব হয়নি। বরাদ্দ আসলেই যেসব স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সেসব স্থানে কাজ শুরু করা হবে।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version