আন্তর্জাতিকজাতীয়

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক ও সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আজ এখানে ৯ম নিরাপত্তা সংলাপে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংলাপে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন প্রচলিত ও অপ্রচলিত নিরাপত্তা বিষয়গুলো গুরুত্ব লাভ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, নিরাপত্তা সহায়তা, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন এবং ব্যাপকতর ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি।

সংলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা শাখার মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-সহকারী সেক্রেটারি মিরা রেসনিকস্ব স্ব প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অপ্রচলিত নিরাপত্তা বিষয়গুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সংলাপে বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো-টলারেন্স’-এর বিবৃত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলায় অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে নিরাপত্তা সহযোগিতাকে উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন পক্ষ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, তথ্য আদান-প্রদান এবং যৌথ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সামুদ্রিক নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সঙ্কটের চূড়ান্ত সমাধান এবং এ সমস্যা সমাধানে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে এবং মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত নাগরিকদেরকে মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং মার্কিন সরকার ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশ নেন। রেসনিক পরে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

author avatar
Mohona Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button