Site icon Mohona TV

সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩২ বেসামরিক নিহত

গত ১৫ এপ্রিল সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও হামলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৩২ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির পশ্চিম ওমদুরমানের ওম্বাদা এলাকায় এই গোলাবর্ষণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

অধিকারকর্মী এবং বাসিন্দারা বলেছেন, দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া সুদানি সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আর এই ধরনের হামলার ঘটনায় রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য শহরে শত শত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, যদিও আরএসএফ খার্তুম এবং ওমদুরমান ও খার্তুম নর্থ শহরগুলোর বেশিরভাগ অংশই দখল করে রেখেছে, তারপরও সুদানের সেনাবাহিনীর কাছে ভারী কামান এবং বিমান বাহিনীর শক্তি রয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে সুদানের সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করার আদেশ দিয়ে একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছেন বলে ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিল জানিয়েছে। অবশ্য আরএসএফ-এর কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদানের সেনাবাহিনী ওমদুরমানে প্রচুর সংখ্যক স্থল সেনা মোতায়েন করে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছিল। মূলত দারফুর অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আরএসএফ-এর প্রধান সরবরাহ রুটটি বন্ধ করার জন্য বড় অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, গত রোববার ওম্বাদাতে সেনা অভিযানে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার ওম্বাদা এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোক পালিয়ে গেছে। অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করে বাড়িঘরের ক্ষতি করার পাশাপাশি বেসামরিক এলাকাগুলোতে লুটপাট ও দখলের বিষয়েও অ্যাক্টিভিস্ট এবং বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

 

author avatar
Delowar Hossain Litu
Exit mobile version