আন্তর্জাতিকজাতীয়জীবনধারা

বাংলাদেশে ৩৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের অনুমোদন!

সালাউদ্দিন রুবেল

৩৫০ সিসি’র মোটরসাইকেলের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ ‘মোটরসাইকেলের সিসি যত বেশি, নিরাপত্তা তত ভালো।’ সরকার দেশের বাজারে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইফাদ গ্রুপ-এর ভাইস চেয়ারম্যান তাসকিন আহমেদ।

আগামী বছরের জুনে কোম্পানিটি এর ৩৫০ সিসি’র রয়্যাল এনফিল্ড দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়বে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। এরপর এটি আন্তর্জাতিক বাজারে এ মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করবে বলে জানান তিনি।

এর আগে দেশের বাজারে ১৬৫ সিসি’র বেশি ইঞ্জিন সক্ষমতার মোটরসাইকেলের অনুমোদন ছিল না। নতুন এ সিদ্ধান্তের পর ইফাদ গ্রুপ ছাড়াও অন্যান্য কোম্পানির উচ্চ সিসি’র মোটরসাইকেলও এখন স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

তাসকিন আহমেদ জানান, রয়্যাল এনফিল্ডের সঙ্গে চুক্তির পর ইফাদ গ্রুপ দেশের মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের ক্ষমতাসীমা বাড়ানোর জন্য সরকারকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল।

‘আমাদের বিনিয়োগের পরে ২০২১ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাথমিক উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দেয়। তবে, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে স্থানীয় বাজারে বিক্রির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে,’

তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন বাংলাদেশে ১৬৫ সিসি’র ওপর মোটরসাইকেল বাজার ছাড়ার সুযোগ ছিল না। এখন সে বাধা দূর হওয়ায় অনেক কোম্পানি এ খাতে বিনিয়োগ করবে।’

ইফাদ মটরস এখন ৩৫০ সিসি ও তার চেয়ে বড় ইঞ্জিনসহ আইকনিক রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল তৈরি করতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে মোটরসাইকেল কারখানা স্থাপন করছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটর-এর একমাত্র পরিবেশক ও উৎপাদন অংশীদার এসিআই মোটরস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফএইচ আনসারি বলেছেন, ‘এটি দেশের জন্য দারুণ খবর। মোটরসাইকেলের সিসি যত বেশি, নিরাপত্তা তত ভালো। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সিসিসীমা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনুমোদনের ফলে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বাড়বে। এ খাতে নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে।’

বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলারস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএএমএ) স্থানীয় সড়কে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমতি দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের সক্রিয়ভাবে বিরোধিতা করে আসছে। তাদের দাবি ছিল, বর্তমান নির্মাতারা বিদ্যমান নীতির সীমাবদ্ধতার অধীনে আট হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং যেকোনো আকস্মিক নীতি-পরিবর্তন বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।

author avatar
Mohona Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button