Site icon Mohona TV

ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স

ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক সিস্টেমে বসছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সড়কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) সিগন্যাল সিস্টেম বসানো হয়েছে। আইন ভাঙলে অটো মামলা হবে। যার বিস্তারিত যাবে মোবাইল ফোনে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার গুলশান-২ সিগন্যালে পরীক্ষামূলকভাবে সিটি করপোরেশন এ পদ্ধতি চালু করেছে। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সব ধরনের গাড়ির গতিবিধি। এআই ক্যামেরার মাধ্যমে কতগুলো গাড়ি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছে তা দেখা যাচ্ছে।

গুলশান-২ নম্বর সিগন্যালে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, লালবাতি জ্বলা অবস্থায় সাদা দাগ অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাফিক মামলা হবে। এতে ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা ৯৯ শতাংশ কমে আসবে। এ আধুনিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের কষ্টও অনেকাংশেই কমে আসবে। লালবাতি জ্বলা মাত্র সবাই সতর্ক হয়ে যাবেন।

প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আইন ভঙের হার বলছে, এ সিস্টেম চালু হলে রাজধানীজুড়ে একদিকে ভয়াবহ যানজট কমবে, অন্যদিকে যত্রতত্র পার্কিং কিংবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার প্রবণতাও কমবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তখন সিগন্যাল সিস্টেমে আসবে।

পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করার ফলে সিগন্যাল বাতিতে আগে যে টাইমিং সিস্টেম ছিল সেটি এখন আর নেই। পরিবর্তে ইন্টেলিজেন্স ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এআই সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন।

রাজধানীর ১৭টি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে মামলা হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। যানজট কমানো ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নিয়েছে এ উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের প্রতিটি পয়েন্ট এআই-এর আওতায় আনা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সিগন্যাল মেনটেন্যান্স সরঞ্জাম, সিসি ক্যামেরা, ইমেজ ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা ও অন্য সরঞ্জমাদি দিয়ে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের প্রতিটি পয়েন্ট এআই-এর আওতায় আনা হবে।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Exit mobile version