Site icon Mohona TV

খানসামায় বৃষ্টি পরবর্তীতে বাড়লো সবজির দাম

খানসামায় বৃষ্টি পরবর্তীতে বেড়েছে সবজির দাম। ছবি: মোহনা সংবাদ

দিনাজপুরের খানসামায় আশ্বিনের শুরুতে টানা চার দিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল জনজীবন। গত চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায়, যান ও মানুষের চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে। গুটিকয়েক সবজি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। কারণ হিসেবে বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন তারা। তবে এটিকে বিক্রেতাদের অজুহাত হিসেবে দেখছেন সাধারণ ক্রেতারা।

উপজেলার খানসামা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, আলু ৪০- ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, কায়তা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাকিগুলা স্বাভাবিক রয়েছে। কম-বেশি একই চিত্র উপজেলার বিভিন্ন সবজি বাজারগুলোতে।

বৃষ্টির কারণে মাঠে সবজি নষ্ট হওয়ায় এবং বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

রায়হান নামে পাকেরহাট বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে সবজির দাম কিছুটা বেশি। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। দামও তুলনামূলক বেশি।

একই কথা বলছেন খানসামা বাজারের আলাউদ্দিন নামে আরেক বিক্রেতা। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে এক ধাক্কায় সবজির দাম অনেকখানি বেড়েছে। এ ধাক্কা কত দিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না। বৃষ্টি পরবর্তীতে দাম একটু বেশি হয়।

তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি শুধু অজুহাত। বিক্রেতারা সুযোগ পেলেই নিজ থেকে দাম বাড়িয়ে দেয়।

আঃ রাজ্জাক নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশের সমস্যা যেখানে উৎপাদন হয়, সেখান থেকে কোনো একটি জিনিসের দাম বাড়তে পারে বললেই দোকানে সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়ে যায়। এরপর আর কমে না। এজন্য রোদ-বৃষ্টি লাগে না। এখন সবজির দাম বাড়ার পেছনে বিক্রেতারা বৃষ্টিকে দায়ী করছেন। কিন্তু এটা শুধু তাদের অজুহাত। তারা মানুষের কথা ভাবে না।

তিনি বলেন, আমাদের ইনকাম বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়েছে। এতে সংসারে টানাটানি শুরু হয়েছে। এখন আমাকে সংসার চালাতে হয় অতিরিক্ত কিছু করতে হবে, না হয় ধার করে চলতে হবে। অথবা কেনাকাটা কমাতে হবে।

জুয়েল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের ওপর যে কী প্রভাব পড়ে সেটি বলে বোঝানো যাবে না। বাজারে এলে লিস্টের অনেক জিনিস না কিনেই ফিরে যেতে হয়।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Exit mobile version