জীবনধারাস্বাস্থ্য

কর্নফ্লেক্স কিংবা ওট্‌স নয়, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী চিড়া

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশের প্রায় অনেকেই সকালের চায়ের সাথে বা বিকেলের নাস্তায় মুড়ি-চিড়া খেতে পছন্দ করেন। সকলের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই চিড়া-মুড়ি। শুধু স্বাদেই নয় বৈজ্ঞানিক ভাবে এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। পেটের সমস্যা হলে অনেক সময় মায়েরা চিড়া ভাজা বা শুকনো চিড়া খেতে বলেন।

কিন্তু বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের মাঝে চিড়ার চেয়েও প্রিয় টোস্ট, ওট্‌স কিংবা কর্নফ্লেক্স। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পুষ্টিগুণের বিচারে ওট্‌স কিংবা কর্নফ্লেক্সের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে চিড়া। যাঁদের দুধ খেলে পেটের সমস্যা হয়, তাঁরা যদি চিড়ার সাথে দই খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, তবে আরও ভাল। এক মুঠো চিড়া ভিজিয়ে সঙ্গে খানিকটা গুড় দিয়ে খেয়ে নিলেও দীর্ঘ সময় পেট ঠান্ডা থাকে।

সকালের নাস্তায় চিড়া খাবেন কেন?

আগের রাতে ভারী বা সহজে হজম হয়না এমন খাবার খেলে সকালে কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে পেট একদম খালি রাখা বা না খেয়ে থাকা উচিত নয়। তাই পেট ঠান্ডা রাখতে দই-চিড়া খাওয়া যেতেই পারে।

ওট্‌স, কর্নফ্লেক্স, ব্রাউন ব্রেডের মতো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। যাঁদের ফাইবার খেলে হজমে সমস্যা হয়, তাঁরা অনায়াসেই চিড়া খেতে পারেন। চিড়াতে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তা সহজপাচ্য। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই খেতে পারেন চিড়া।

চিড়া তৈরি হয় সরাসরি ধান থেকে। এটি সহজপাচ্য খাবার এবং চিড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়। তাই এতে পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে চিড়া।

দ্রুত মেদ ঝরাতে অনেকে ভাত রুটি খান না। কিন্তু শরীরে শক্তির জোগান দিতে প্রচুর  কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। তাই আমাদের দৈনন্দিনের খাবারে দই-চিড়া রাখা যেতেই পারে। ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায় চিড়া। কারণ, পুষ্টিগুণ চালের কাছাকাছি।

উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে চিকিৎসকরা অনেক খাবার খেতে নিষেধ করেন। তবে অনেক চিকিৎসকই রোগীদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চিড়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধু পরিমাণমতো চিনি বা গুড় খেলেই সব ঠিক থাকবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

author avatar
Delowar Hossain Litu
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button