Site icon Mohona TV

লেবাননে সংঘর্ষের পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল খালি করার নির্দেশ

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় কিরিয়াত শমোনা নগরী খালি করার পরিকল্পনা করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সাথে কয়েকদিনের সংঘর্ষের পর শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় কিরিয়াত শমোনা নগরী খালি করার পরিকল্পনা করেছেন।

সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলা হয়েেেছ, কিছুক্ষণ আগে উত্তর কমান্ড নগরীর মেয়রকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। পরিকল্পনাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পর্যটন মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। খবর এএফপি’র।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ১,৪০০ জনকে হত্যা করার পর লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও মিত্র ফিলিস্তিনি দলগুলো কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলের সাথে আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় করেছে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বোমাবর্ষণে গাজা উপত্যকায় ৩৭শ’রও বেশি ফিলিস্তিন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের বাহিনী হিজবুল্লাহর স্থাপনাকে টার্গেট করে চলেছে। সেনাবাহিনী শুক্রবার ভোরে বলেছে, আইডিএফ (ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী) পর্যবেক্ষণ পোস্টসহ হিজবুল্লাহ অবকাঠামোর ওপর বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।

এছাড়াও আইডিএফ যুদ্ধবিমান ইসরায়েলের দিকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রচেষ্টাকারি হামাসের তিন যোদ্ধাকে আহত করেছে।

রিজার্ভিস্ট ও ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান ছড়িয়ে পড়ায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ উত্তর সীমান্ত জুড়ে সাম্প্রদায়গুলোকে সরিয়ে নিচ্ছে।

লেবাননের একমাত্র শিয়া মুসলিম সশস্ত্র দল হিজবুল্লাাহ আন্দোলন ১৯৭৫-১৯৯০ গৃহযুদ্ধের পর নিরস্ত্র হয়নি। দলটি সর্বশেষ ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সাথে একটি বড় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেই যুদ্ধে লেবাননে ১,২০০ জনের বেশি নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক ও ইসরায়েলে ১৬০ জন নিহত হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল সৈন্য।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Exit mobile version