আন্তর্জাতিক

আবারও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা

মোহনা অনলাইন

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিনে হামাসের একটি সেল রয়েছে, এমন একটি ভূগর্ভস্থ রুট লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় রোববার ভোরে ওই হামলায় অন্তত দুজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে।

তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়, রয়টার্স যে বিমান হামলার কথা বলছে সেটিই আইডিএফ সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এ পোস্ট করে যে হামলার কথা জানিয়েছে তা একই হামলা কি-না।

ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল অভিযানের বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো যে তিনি গাজায় ওই অভিযান বিলম্বিত করতে বলেছেন কি-না, জবাবে মি. বাইডেন শুধু বলেছেন, “ইসরায়েলিদের সাথে আলোচনা করছি।”

ইসরায়েল এর মধ্যেই গাজাকে ঘিরে ফেলেছে এবং জরুরি সামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলের হামলায় ১৩ জন নিহত হবার খবর দিয়েছে জাতিসংঘ। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু রয়েছে।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া ওই হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছে।

ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে। গত ৫০ বছরে ইসরায়েল পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে বিপুল সংখ্যক বসতি স্থাপন করেছে যেখানে এখন প্রায় সাত লাখ ইহুদি বসবাস করে।

যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরণের বসতি বৈধ নয়। এ বছর পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আইডিএফ সামাজিক মাধ্যম এক্সে করা পোস্টে জানিয়েছে, তারা মূলত একটি মসজিদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। “ওই মসজিদটি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল,” ওই পোস্টে বলা হয়।

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর গাজা উপত্যকা থেকে আলাদা একটি অঞ্চল, যেখানে আগেই বিমান হামলা জোরদারের কথা জানিয়েছিলো আইডিএফ।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাসকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা আরও জোরদার করা হবে এবং তিনি গাজার অধিবাসীদের মধ্যে এখনো যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদেরকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছেন।

বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে লিফলেট ছেড়ে অধিবাসীদের দক্ষিণের দিকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। অন্যথায়, যাদের দেখা যাবে তাদের হামাস হিসেবে গণ্য করার হুমকি দিয়েছে তারা।

ওদিকে, মিশর সীমান্ত দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে সেখানে খাদ্য, ঔষধ ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

তবে জাতিসংঘ এই ত্রাণকে যতটা দরকার সেই তুলনায় ‘সাগরের মধ্যে এক ফোটা পানি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button