Site icon Mohona TV

মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর আমেরিকার এই দেশটি ইসরায়েলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি সংঘাত শুরুর পর পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছিল।

এবার যুক্তরাষ্ট্র  এই অঞ্চলে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠালো। ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ওহিও-শ্রেণির একটি পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়েছে দেশটি। রোববার (৫ নভেম্বর) এক এক্সবার্তায় মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বিষয়টি জানিয়েছে।

এক্সবার্তায় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, রোববার (৫ নভেম্বর) ওহিও-শ্রেণির একটি পারমাণবিক সাবমেরিন সেন্ট্রাল কমান্ডের এলাকায় পৌঁছেছে। এই সেন্ট্রাল কমান্ডের এলাকার মধ্যে রয়েছে ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর, পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর। তবে এই সাবমেরিনটি ঠিক কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে তা জানায়নি মার্কিন সেনাবাহিনী।

এছাড়া, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। আর এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো পারমাণবিক সাবমেরিন ইতোমধ্যেই নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছেও গেছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এর আগে, গত আগস্টে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েলের সহায়তায় ‍দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। মূলত বর্তমান এই সংঘাতে যেন ইরান বা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জড়িয়ে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতেই এসব বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারও এই একই কারণে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

author avatar
Editor Online
Exit mobile version