Site icon Mohona TV

দেশের ২১ ব্যাংক ডলার সংকটে

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ২১টি ব্যাংক ডলার সংকটে ভুগছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে। তবে সার্বিকভাবে ডলারের সংকট নেই।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের বেশি ডলার আছে। সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংক গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছে। এ কারণেই কখনও কখনও অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলার বাজারে।

রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। প্রয়োজন হলে দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো ‘আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং সেবামূল্য পরিশোধ।’ এ দুই জায়গাতেই চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্রও খোলা কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশির ভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই বলাই যায়, অল্পসময়ের মধ্যেই ডলার সংকট নিরসনের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এর আগে ১৯ অক্টোবর আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক জানিয়েছিলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Exit mobile version