রাজনীতি

ভাণ্ডারিয়ায় আ.লীগ-জেপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

মোহনা অনলাইন

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জেপি, মঞ্জু) মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে আওয়ামী লীগের দাবি প্রতিপক্ষ জেপির কর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের রিজার্ভ পুকুর পার এলাকায় অবস্থিত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জেপি, মঞ্জু) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে পিরোজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থনে  এবং জামায়াত শিবিরের হরতাল- অবরোধ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল চলছিল। এসময় জেপি নেতাকর্মীরা সভাশেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া  যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আহসানুল কিবরিয়া ফরিদ মল্লিক, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ সরদার, পৌর ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মাহাবুব শরীফ শুভকে গ্রেপ্তার করে। তবে পুলিশের দাবি আটকরা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর মামলার আসামি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লিটন পেশকার বলেন, আমরা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করাকালে স্থানীয় জাতীয় পার্টির কর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে।

এদিকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মাহিবুল হোসেন মাহিম বলেন, আমরা জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার মঞ্জুর মনোনয়নপত্র দাখিল ও তার দোয়া মোনাজাতের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে দলীয় অফিস থেকে বের হওয়ার পরে আমাদের নেতাকর্মীকে পুলিশ ঘিরে রাখে। এ সময় আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা আমি জানি না।

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান জানান, সেখানে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ হতে পারে।  জাতীয় পার্টি (জেপির) নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের একটি  মামলা থাকায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় দক্ষিণ শিয়াকাঠী মেডিকেল মোড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button