Site icon Mohona TV

তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

মন্ত্রিসভার তিনজন টেকনোক্র্যাট (যাঁরা সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

আর প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা হলেন অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন।

ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র দেন।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় এখন সদস্য সংখ্যা ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী।

গত ৩১ অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করা হয়েছিল, এবারও একই রকম পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ও প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রচার চালানোর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং তারা পদত্যাগপত্র জমাও দেন। বাকি মন্ত্রীরা সবাই রুটিন কাজ করে গেছেন।

সেসময় যেসব মন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন, তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর, অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।

এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগের সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরোনো কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন করে ছয়জনকে যুক্ত করা হয়।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Exit mobile version